অজেয় বাংলা রিপোর্ট :
ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের ফোরলেন প্রকল্পের কারণে স্থানীয় গ্রামীণ অর্থনীতিতে পড়েছে বিরূপ প্রভাব। দুইলেনের সড়ক ফোরলেনে উন্নীত হওয়ায় দুপাশের খাল-নালা পুরোটাই গেছে সড়কের পেটে। ফলে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে বর্ষায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে করে কৃষি, মৎস্য এবং গ্রামীণ অবকাঠামো বিশেষ করে রাস্তাঘাট, পুলকালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ির হয়ে থাকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। স্থানীয় কৃষক, মৎস্য চাষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর দাবি-শুধু সড়কের ফেনী অংশেই এসব খাতে বছরে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ৩০ কোটি টাকার বেশি। পানির প্রবাহ সচল রাখতে সড়কের দুপাশের খাল ও নালা সংস্কারে এখনই উদ্যোগ না নিলে ফেনী ও নোয়াখালীর বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি অর্থনীতিতে সুদূরপ্রসারী বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আশংকা সংশ্লিষ্টদের।
দাগনভূঞা উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান মাস্টার খোরশেদ আলম বলেন, ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়ক ঘেঁষে দাগনভ‚ঞার পূর্ব বাজার হতে মাতুভূঞা ব্রিজের কাছে গিয়ে ছোট ফেনী নদীতে পড়া খালটি দাগনভ‚ঞা পৌর এলাকা ছাড়াও উপজেলার রামনগর, ইয়াকুবপুর, পূর্বচন্দ্রপুর, মাতুভ‚ঞা ও সদর ইউনিয়ন এবং নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার পূর্বাঞ্চলের একটি অংশের বর্ষায় পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ। ফোরলেন প্রকল্পে সড়কটির প্রশস্থতা বৃদ্ধি পাওয়ায় খালটি অনেকটাই ভরাট হয়ে যায়। এতে করে বর্যাকালে এসব এলাকা হতে বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি নামার পথ রুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ফোরলেনের কাজ শুরু পর গত দুই বছর-এসব এলাকার কয়েক হাজার একর ফসলি জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। বর্যায় পুকুর ও মাছের ঘের ভেসে যাওয়ায় অনেকেই মৎস্য চাষ ছেড়ে দিয়েছেন। কৃষি ও মৎস্য চাষ নির্ভর এই অঞ্চলের গ্রামীণ অর্থনীতিতে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে খালটি অতিদ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
সরেজমিনে সড়কের ফেনী অংশ ঘুরে যে চিত্র পাওয়া যায়, তা কৃষির জন্য এক ভয়াবহ অশনিসংকেত। দেখা গেছে, সড়কের নোয়াখালীর সেবারহাটের পূর্বে সেনবাগের মোহাম্মদপুর এবং দাগনভ‚ঞার রামনগর এলাকার যে পানি দাদনার খাল হয়ে ছোট ফেনী নদীতে গিয়ে পড়তো-সড়কের প্রশস্ততার কারণে ভরাট হয়ে সেই পানির প্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ফোরলেনের কাজ শুরু পর গত দুই বছর-এসব এলাকার কয়েক হাজার একর ফসলি জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। বর্যায় পুকুর ও মাছের ঘের ভেসে যাওয়ায় অনেকেই মৎস্য চাষ ছেড়ে দিয়েছেন। কৃষি ও মৎস্য চাষ নির্ভর এই অঞ্চলের গ্রামীণ অর্থনীতিতে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে খালটি অতিদ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
সরেজমিনে সড়কের ফেনী অংশ ঘুরে যে চিত্র পাওয়া যায়, তা কৃষির জন্য এক ভয়াবহ অশনিসংকেত। দেখা গেছে, সড়কের নোয়াখালীর সেবারহাটের পূর্বে সেনবাগের মোহাম্মদপুর এবং দাগনভ‚ঞার রামনগর এলাকার যে পানি দাদনার খাল হয়ে ছোট ফেনী নদীতে গিয়ে পড়তো-সড়কের প্রশস্ততার কারণে ভরাট হয়ে সেই পানির প্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে দাগনভূঞার পূর্ব বাজারে দাসপাড়া রোড়ের সামনে থেকে সড়ক ঘেঁষে যে খালটি মাতুভ‚ঞা ব্রিজের কাছে ছোট ফেনী নদীতে মিশেছে-সেই খালটি বর্যায় দাগনভ‚ঞা বাজার, পৌরসভার ৪, ৫, ৬, ৭ ,৮ ও ৯ ওয়ার্ড, দাগনভূঞা সদর, পূর্ব চন্দ্রপুর, রামনগর, ইয়াকুবপুর ও মাতুভ‚ঞা ইউনিয়নের বড় একটি অংশের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ। দেখা গেছে, সড়কের প্রশস্ততার কারণে খালটির অনেকটাই ভরাট হয়ে গেছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, খালটি ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত দুই বছর তাঁরা জমিতে কোনো ধরনের চাষাবাদ করতে পারছেন না। পুকুর ও মাছের ঘেরগুলোও মারাত্মক হুমকিতে। টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে যায়।
উপজেলার রামানন্দপুর গ্রামের খামার মালিক আবদুর রহিম অভিযোগ করেন, গত বছরের বর্যায় তার মাছের খামার পানিতে ডুবে যায়। এতে করে তার ২০ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়। ক্ষতির আশংকায় এ বছর তিনি খামারে কোনো ধরনের মাছ ছাড়েননি। দাগনভ‚ঞা পৌর কৃষক লীগের সভাপতি মফিজ উল্যাহ বলেন, কৃষকেরা যে জমিতে রবি শস্য ছাড়াও বছরে তিন বার ধান চাষ করতেন, সেই জমিতে এখন এক ফসলও চাষ করতে পারছেন না। এ বছর অনেকে বোরো চাষের জন্যে বীজতলা তৈরি করেও জলাবদ্ধতার কারণে ফসল বুনতে পারেননি। ফলে কৃষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং কৃষি কাজ থেকে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের পাশে খাল ও নালাসমূহ ভরাট হয়ে যাওয়ায় ৩০০ হেক্টরেরও বেশি ফসলী জমি পতিত পড়ে আছে। এতে করে প্রতি বছর কৃষকের ১০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে। সড়কের পাশে খাল ও নালাসমূহ শিগগিরই সংস্কার করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করলে স্থানীয় কৃষি অর্থনীতিতে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মজুমদার ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের ফোর-লেনের কাজের কারণে সড়কের পাশে খাল ও নালাসমূহ বন্ধ হয়ে কৃষির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা বিষয়টি আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, সড়কের পাশে খাল ভরাট হয়ে পড়ায় বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে উপজেলার বেশিরভাগ এলাকার পুকুর ও মাছের খামারসমুহ তলিয়ে মাছ ভেসে যায়। এতে করে মাছ চাষীরা বছরে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার লোকসানের শিকার হচ্ছেন। কৃষি ও মৎস্যের পাশাপাশি গ্রামীণ অবকাঠামো বিশেষ করে রাস্তাঘাট, পুলকালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাগবাগিচা ও বসতবাড়িরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমপুর এলাকার গ্রাম ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা, কৃষক আবুল হোসেনসহ উপস্থিত অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ফেনী-নোয়াখালী সড়ক ফোরলেন হচ্ছে আমরা এলাকাবাসী খুব খুশি। কিন্তু সড়কের উন্নয়ন করতে গিয়ে আমাদের কৃষি ও গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি মেনে নেওয়া যায় না। তাঁরা অভিযোগ করেন, বর্ষাকালে তাঁদের এলাকার বৃষ্টির পানি দাগনভূঞার জায়লস্কর বিজিবি ক্যাম্পের পাশের খাল দিয়ে ছোট ফেনী নদীতে গিয়ে পড়ত। এখন খালের কোনো অস্তিত্বই নেই। ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর বর্ষাকালে যেমন ডুবে থাকে, শুষ্ক মৌসুমেও আটকে থাকে পানি। যার ফলে তাঁদের কৃষি জমি অনাবাদি পড়ে আছে, অনেকের বসতবাড়ি পানিতে ভাসছে। কারো কারো বাগবাগিচার নারিকেল, সুপারি, আম ও কাঁঠালসহ বিভিন্ন জাতের গাছগাছালি মারা পড়ছে। এছাড়া গ্রামীণ সড়কগুলোর খুবই বেহাল দশা। দীর্ঘদিন পানিতে ডুবে থাকায় দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে বিভিন্ন জায়গা সড়ক ভেঙ্গে গেছে। সড়কের ওপরের কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এসব সড়ক মেরামত ও সংস্কার করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে বছরে পাঁচ থেকে দশ কোটি বাড়তি ব্যয় করতে হচ্ছে।
এই বিষয়ে এলজিইডি ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসান আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের ফেনী অংশে খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষাকালে পানির স্বাভাবিক প্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে মহাসড়কের আশেপাশের এলাকার গ্রামীণ সড়কগুলোতে ব্যাপক ক্ষতের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে এসব সড়ক মেরামতে এলজিইডিকে বিপুল অর্থ অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছে।
দাগনভূঞা পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক খান জানান, ফোরলেন প্রকল্পের আওতায় ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের প্রশস্ততা বাড়ায় সড়কের পাশের খাল অনেকটাই ভরাট হয়ে গেছে। খালের সামান্য যেটুকু অংশ অবশিষ্ট ছিল-সেটিও অবৈধ ব্রিজ, কালভার্ট, বাঁধ ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করে রাখা হয়েছিল। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহের বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে গত বছর বর্ষায় দাগনভূঞা পৌর এলাকা ছাড়াও উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এতে করে কৃষি, মৎস্য ও গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পৌরসভার অনেকগুলো সড়ক।
দাগনভূঞা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পৌরসভার উদ্যোগে ওই সময়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে খালের অবশিষ্ট অংশ অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়। তবে ব্রিজ, কালভার্ট ও বাঁধ অপসারণ করা গেলেও খালের তলদেশ খনন করা যায়নি। সড়কের পৌরসভার দাসপাড়া রোড়ের সামনে থেকে মাতুভ‚ঞা ব্রিজ পর্যন্ত খালটি ১০-১৫ ফুট প্রশস্ততায় খনন করার পৌরসভার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ফোরলেনের কাজের কারণে সৃষ্ট এই সংকটের নিরসনে ফেনী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পালের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকাভ‚ক্ত কোনো খাল নেই। যেটি রয়েছে, এটি হলো ‘নয়নজলি’। সেটি সড়ক বিভাগেরই জায়গা। সময়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে সড়কটি ফোরলেনে উন্নীত করার স্বার্থে সড়কের পাশের নয়নজলি কোথাও কোথাও ভরাট হয়ে গেছে। তবে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ সচল রাখতে কোথাও খননের প্রয়োজন হলে সড়ক বিভাগ তা বিবেচনা করবে বলে তিনি জানান। সমস্যা সমাধানে উপজেলা
প্রশাসনের পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) গাজালা পারভীন রুহী বলেন, ‘বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন অবগত রয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায়ও আলোচনা হয়েছে।’ খালটি সংস্কার না করলে এ বছরও কৃষি ও গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকার কথা জানালে তিনি বলেন, যে কোনোভাবে বর্যায় জলাবদ্ধতা থেকে দাগনভূঞাকে বাঁচাতে হবে। বাঁচাতে হবে কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে। খালটি সংস্কারে শিগগিরই ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”
- » ফরহাদনগরে ছাত্রদল নেতা জিয়া উদ্দিনের ভয়ে বসতবাড়ি ছেড়ে পথে ঘুরছে বৃদ্ধা দুই অসহায় বোন